ঈমানের পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামায। রাসূলে কারীম ﷺ ইসলামের বুনিয়াদী পাঁচ রুকনের মধ্যে নামাযকে দ্বিতীয় রুকন সাব্যস্ত করেছেন। একজন মুসলমান – নারী হোক বা পুরুষ , নামাযের পরিপূর্ণ ফযীলত ও বরকত লাভ তখনই করতে পারবে, যখন নামাযের প্রয়োজনীয় মাসাইল ও আহকাম সম্পর্কে পূর্ণ অবগত হবে।
নামায নিয়ে আমাদের বহু প্রশ্ন আছে। আছে নানান খটকা। সব প্রশ্নের উত্তর সব জায়গায় পাওয়া যায় না। দ্বিতীয় কিছু বিষয় আছে লজ্জায় জিজ্ঞেস করতে পারি না। তাই ওযু থেকে শুরু করে সালাম ফেরানোর আগ পর্যন্ত নামাযের যাবতীয় বিষয় নিয়ে এখানে ধরে ধরে আলোচনা করা হয়েছে। কোনো বিষয়ের চুল পরিমাণও বাদ দেননি লেখক। এজন্যই এটিকে নামাযের এনসাইক্লোপিডিয়া বা বিশ্বকোষ বলা যায়। নামায সম্পর্কিত মাসায়েলের দলিলভিত্তিক বৃহত্তর সংকলন। নামাজ সম্পর্ক A-Z জানতে এটাই আমাদের দেশে প্রকাশিত এই পর্যন্ত বৃহৎ এবং বিস্তৃত বই।
ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ রোযা সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি? বড়জোর প্রতি বছর সাহরী-ইফতারের সময়সূচী সম্বলিত ফ্রি বিতরণের লিফলেট, হ্যান্ডবিল, ক্যালেন্ডারগুলোই হয়তো আমাদের জ্ঞানের উৎস। কিন্তু এই মহান ইবাদত, যার পুরস্কার স্বয়ং আল্লাহ তাআলা নিজে দিতে চেয়েছেন, সেটি কি আমরা তার এই পুরস্কারপ্রাপ্তির যোগ্য হওয়ার জন্যে পালন করতে পারছি? কেয়ামতের দিন বহু রোযাদার উঠবেন, যখন তাদের আমলনামায় লেখা থাকবে “বে-রোযাদার”! কেন? রোযা রেখেছেন বটে কিন্তু নিয়ম না জেনে, ভুল-ভ্রান্তির তোয়াক্কা না-করে, দায়সারাভাবে। তাই জানার কোনো বিকল্প নেই। রোযা নিয়ে অনেক বইয়ের মাঝে রীতিমত হাজার মাসআলার “এনসাইক্লোপিডিয়া” নিয়ে এবারে হাজির হয়েছে আনোয়ার লাইব্রেরী। বিস্তারিত দলীল-প্রমাণ তাহকীকী টিকা-টিপ্পনী এবং শবে বরাত, শবে কদর, ঈদের নামায, চাঁদ দেখা, রোযার আধুনিক মাসায়েল, রোযার বৈজ্ঞানিক উপকারিতা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রবন্ধ সংযোজিত হওয়ায় এই সরল-সাবলীল অনুবাদটি হয়েছে ঋদ্ধ। এর বর্তমান সংস্করণে তারাবীহ বিশ্বকোষ ও ইতিকাফ বিশ্বকোষ শীর্ষক দুটি কিতাব একই মলাটবদ্ধ হওয়ায় এটি অধিকতর পূর্ণাঙ্গ রূপ ধারণ করেছে। বাংলা বর্ণানুক্রম অনুযায়ী প্রতিটি মাসআলা ও প্রবন্ধ বিন্যস্ত হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত বিষয়টি অনায়াসেই খুঁজে পাবেন এখানে । সংগ্রহে রাখুন রোযার বিষয়ে বাংলাভাষার বৃহত্তর মাসায়েল সংকলন : সিয়াম বিশ্বকোষ।